পচন ধরলে বা মড়ক লাগলে ভালই ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমার দেশেও কেমন জানি সব জায়গায় পচন ধরে গেছে। সর্বত্র বিচারহীনতার কারনেই বোধহয় মানুষের মধ্যে ভয়, ডর কমে গেছে। যে কোন ঘটনাকে সুন্দর করে রং চং মেরে চালিয়ে দিতে পারলেই পগার পাড়। তাইতো বিচার হয়নি তনু হত্যার, বুসারা হত্যাকাণ্ডের বিচারে আসামিরা খালাস। বিচার হয়না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরনের মেয়েদের নিগৃহীত হওয়ার । এই সবকিছু কি এক দিনেই তৈরি হয়েছে ? ৭০-৮০ দশকে মেযেদেরকে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করা একটা অসুস্হ্য কালচার ছিল। শুধুকি মাস্তান টাইপ লোকজন এ কাজ করত? আজকের অনেক রথি মহারথিগন এইদলে সামিল ছিলেন। তারপর এসিড সন্ত্রাস, এর পর প্রেমের প্রলোভনে ভিডিও ধারন আরও কত কি। ৯০ দশকে বিকালে বইমেলার গেটে মেয়েদের ঢোকা ছিল রিতিমত নরকের দরজা দিয়ে ঢোকার মত। যারা গেটে দাড়িয়ে থাকতেন তাদের অনেকেই হয়তো দেশের সর্বোচ্চ আসনে আসিন, কথনও কি তাদের অনুশোচনা ছিল তাদের কৃতকর্মের? বরং কি সগর্বে তাদেরকে সেই সোনালী দিনের(তাদের ভাষায়) গল্প এখনও বলতে শুনি।

আমাদের চামড়াও পুরো হতে হতে বিবেকহীন হয়ে গেছি । পাপির শাস্তির ব্যাবস্থার কথা না বলে আমরা কত ভাবে ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করি । যেমন মাদ্রাসার শিক্ষার জন্যই এ অবস্হা বা বেশি মর্ডান করে মানুষ করা, মেয়ের কাপড় পরা ঠিক কি না, সন্ধা বেলার পর কেন ঘরের বাহিরে থাকে আরও কত কি কিছু।

ঘরে আগুন লাগলে পিঠে আঁচ লাগবেই। আঁচ থেকে বাঁচতে হলে ধর্ষক বা নিপিরীতদের ধর্ম, বর্ন, রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে বিচার করে শাস্তি হওয়া উচিত । এই বিচারে যারাই গাফলতি করবেন তাদেরও ধর্ষকের সমান শাস্তি প্রদান করতে হবে।

(অভিমতটি কাওসার শহীদুল্লাহ'র ফেসবুক আইডি থেকে সংগৃহিত)